স্বপ্নদোষ হতে মুক্তির উপায়


ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হলে তাকে স্বপ্নদোষ বলে। পীড়া যৌবনাবস্থায় হয়ে থাকে। হয়ত কারো দিন বা রাতের মধ্যে দু’তিনবার স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। এতে অধিকাংশ শুক্রপাত হয়ে শরীরকে দুর্বল করে ফেলে।

সেজন্য ঐ রোগের শীঘ্র তদবীর করা আবশ্যক। শরীরে এরূপ রোগ থাকলে পুরুষ কখনোই সংসারে পত্নী নিয়ে সুখ-সম্ভোগ করতে পারে না।

১। কাবাবচিনি ও মকরধজ একসাথে মিশিয়ে চিনি সহযোগে সাতদিন ব্যবহার করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

২। দৈনিক সকালে কবুতরের গম সমান পরিমাণ ইছবগুলের ভুষি সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩। সকাল বেলা এক ছটাক পরিমাণ ধনিয়া ভালোভাবে কচলিয়ে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবে। রাতে শয়নকালে উক্ত পানি ছেকে ২ চামচ চিনি দিয়ে শরবতের মত বানিয়ে পান করবে। এতেও স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৪। আধা তোলা ধনিয়ার গুঁড়া, ২ চামচ মধুসহ সকালে নিয়মিত সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৫। রাতে শয়নকালে লিঙ্গে ওলিভয়েল তৈল মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৬। চার আনা পরিমাণ অর্শ্বগন্ধা চূর্ণ করে রাতে ঘুম যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করে ঘুমে গেলে ইনশাআল্লাহ আর কোনো দিন স্বপ্নদোষ হবে না।

৭। শনিবার অথবা মঙ্গলবার রাত্রি বেলা শশ্মান ঘাটের ধুতরা গাছের মূল অর্থাৎ শিকড়, কোমরে বেঁধে রাখলে আর কোনোদিন স্বপ্নদোষ হবে না।

৮। রাতে শোয়ার সময় ভালোভাবে মুখমন্ডল কান পর্যন্ত, হাত বগল পর্যন্ত এবং পা হাটু পর্যন্ত এমনকি গলাও উত্তমরূপে ধৌত করে ঘুমাবে।

৯। মাত্রাতিরিক্ত চা ও সিগারেট সেবন না করা।

১০। রাতে বেশি পরিমাণ খানা খাওয়া উচিত নয়। অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত আহার ও নিদ্রা যাওয়া উচিত।

১১। জৈনের তেল পুরুষাঙ্গ মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হয় না। একখন্ড শিশা পুরুষাঙ্গের মূলদেশে বেঁধে রাখলেও শুক্রপাত হয় না।

No comments

Powered by Blogger.