ছেলেদের মাসে কতবার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাত হওয়া স্বাভাবিক?
উত্তরঃ ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত হলেই তাঁকে স্বপ্নদোষ বলা যাবে না। মানুষ ঘুমালে স্বপ্নের মাধ্যমে নানান কিছু দেখে থাকে।
কেউ কোথায় ঘুরতে যেতে দেখে। কেউ স্বপ্নে কিছু পেতে দেখে। কেউ স্বপ্নে মনে মনে যাকে ভালোবাসে তাঁর সাথে প্রেম-বিয়ে কিংবা একত্রে কথা বলতে দেখে।
কেউ স্বপ্নে নগ্ন নারী কিংবা সঙ্গম করতে দেখে। আবারো কোন কোন সময় ভয়ঙ্কর অনেক কিছুও স্বপ্নে দেখা হয়। অর্থাৎ মানুষের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলনই স্বপ্নের মাধ্যমে দেখে। তাহলে আমরা ঘুমের ঘোরে বীর্যপাতকেই কেনো স্বপ্নদোষ বলছি?
মানুষ ঘুমালে তাঁর দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। তাঁর সাথে বিশ্রাম পায় মস্তিঙ্ক। যার কারনে হয়তো আমরা কল্পনা ও চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন দেখি ঘুমের মধ্যে।
মরা যখন ঘুমায় তখন আমরা অন্য একটি জগতে প্রবেশ করি। তখন আমাদের খেয়াল থাকে না আমরা কোথায় আছি এবং কি করছি। অনেকেই ঘুমালে কথা বলে, হাত নড়াচড়াও করে।
অথচ স্বপ্ন দেখেই এগুলো করছে। তাহলে এটা কি দোষের বলা যাবে? যাবে না।
আমরা দৈনন্দিন যেসব খাবার আহার করি তাঁর মধ্যে নানান ধরণের উপাদান বৃদ্ধমান থাকে। আহার গ্রহণ করার মাধ্যমে এগুলো আমাদের দেহের আভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
এসব উপাদান দ্বারা আমাদের দেহের নানান অঙ্গের চালিকা শক্তি তৈরি হয় এবং সেগুলো দেহের ভিতরে জমা হয়। এসব উপাদান থেকে বীর্যও তৈরী হয় এবং এই বীর্য গুলো বীর্যথলীতে জমা হয়।
উত্তেজনার শেষ মূহুর্তে পুরুষাঙ্গ দিয়ে এ বীর্য বেরিয়ে আসে। ফলে বীর্যথলী খানিকটা খালি হয় এবং নতুন বীর্য জমা রাখার জায়গা পায়। এতে করে স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।
যখন বীর্য জমা হতে হতে বীর্যথলী পূর্ণ হয়ে, নতুন বীর্য জমা হওয়ার জায়গা পায় না তখনই গন্ডগোল দেখা দেয়। তখন অল্প উত্তেজনা বশত বা পুরুষাঙ্গে কাপড়ের ঘষের ফলে বীর্যপাত হয়ে যায়।
এটি রাতের ঘুমের মধ্যে হতে পারে আবার দিনের বেলায়ও হতে পারে। আর নিয়মিত #সঙ্গম করা ব্যতীত মাসে দু’চার বার এরকম ঘটনা ঘটলে তাতে দোষের কিছু নেই। নিয়মিত সেক্স লাইফ উপভোগ করলে এরকম ঘটনা ঘটবে না।
আসল সত্য কথা হচ্ছে অধিকাংশ পুরুষের স্বপ্নের মাধ্যমে বীর্যপাত না ঘটে বরং ঘুমের ঘোরে নিজের অচেতন মনে বিছানায় লিঙ্গের ঘর্ষণের দ্বারা বীর্যপাত ঘটান।
একাজটি অনেক পুরুষ ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পরেও প্রভৃতির তাড়নায় করে থাকে। হেযেতু তাঁর কাছে স্ত্রী নেই, তাই মনের প্রভৃতির তাড়নায় সে একাজটি ঘটিয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে একে স্বপ্নদোষ বলা যাবে না।
দোষ দিতে গেলে জৈবিক তাড়নার দোষ দিতে হবে। নিজের ইচ্ছার নিয়ন্ত্রণের দোষ দিতে হবে।
যদি এমনটি হয় যে কোন পুরুষের সপ্তাহে একাধিক বার নিজের ইচ্ছে ব্যতীত ঘুমের ভিতরে তাঁর বীর্যপাতের ঘটনা ঘটছে এবং তাতে তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তাহলে তাঁর উচিৎ যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নেওয়ার।
No comments