বিয়ে সামনে? এই কাজগুলো করা যাবে না


বিয়ের মৌসুম শুরুর আগেই হবু কনে ও তাদের পরিজনরা এখন থেকেই শুরু করে দেন তোড়জোড়। শাড়ি-গয়না কেনা, বিয়ের দিনের সাজ, মেনু থেকে শুরু করে নিমন্ত্রণপর্ব, সবই যেন সঠিকভাবে হয় চলছে তার প্রস্তুতি। আর জানেন নিশ্চয়ই, বিয়ের দিন আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য প্রয়োজন সুস্থ ত্বক। এত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো? নাহলে, আজই রুটিন বানিয়ে ফেলুন। আর সেই রুটিনের প্রথম এবং সবথেকে সহজ ধাপটি হল ক্লিনজিং। কাজটা সহজ হলেও, আমরা না জেনে ক্লিনজিঙের সময় কিছু ভুল করে ফেলি। যার ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়। আগে থেকে সাাবধান হতে জেনে নিন সেই ভুলগুলি কী কী –

ক্লিনজিঙের আগে হাত পরিষ্কার না করা
আমাদের শরীরের সবথেকে অপরিষ্কার অংশ হলো হাত। সারাদিন অনেক ধুলোময়লার সংস্পর্শে এসে হাত নোংরা হয়। সেই হাত পরিষ্কার না করেই মুখে ছোঁয়ালে হাতের জীবাণু মুখের ত্বকের ক্ষতি করে। তাই, মুখ পরিষ্কার করার আগে ভালো করে হাত পরিষ্কার করে নিন।

মেকআপ না তোলা
ক্লিনজিঙের আগে মুখ থেকে সবরকম মেকআপ তুলে ফেলা উচিত। মেকআপ না তুলেই মুখ পরিষ্কার করলে মুখে তার কিছু অংশ থেকে যায়। বিশেষ করে চোখের মেকআপ ঘেটে গিয়ে দেখতে খারাপ লাগে আর ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। তাই, প্রথমে ভালো মেকআপ রিমুভার দিয়ে মুখ থেকে মেকআপ তুলে নিন। তারপর, ক্লিনজিঙ করুন।

ক্লিনজার বাছাই
বাজারে নানারকম ক্লিনজার পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন না বুঝেই আমরা গন্ধ বা রঙের ভিত্তিতে যেকোনও একটা বেছে নিই। পরে তা ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়। ক্লিনজার কেনার আগে নিজের ত্বক শুষ্ক না তৈলাক্ত তা জানুন। ত্বকের ধরন জানা না থাকলে সব ধরনের ত্বকের জন্য যে ক্লিনজার পাবেন সেটাই নিন। চেষ্টা করুন সালফেট ও সোপ ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করতে। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি ক্লিনজার ত্বকের জন্য ভালো।

পানির তাপমাত্রা
অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ত্বক সহ্য করতে পারে না। পানির তাপমাত্রা সঠিক না হলে ত্বক শুকিয়ে যায়। ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। তাই, হালকা গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারবেন।

অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েটিং
এক্সফোলিয়েটর ত্বকের মৃত ও শুষ্ক কোশগুলি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে, ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ ও মসৃণ। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু, অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েটিং ত্বকের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়। তাই বেছে নিন মৃদু এক্সফোলিয়েটর। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার ব্যবহার করুন। আর মাথায় রাখবেন, আলতো হাতে মুখে লাগাতে হয় এক্সফোলিয়েটর। জোরে জোরে ঘষলে উলটো ফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ঘষে ঘষে মুখ মোছা
অনেকেরই অভ্যাস তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ মোছা। যার ফলে মুখে কোঁচকানো ভাব, জ্বালা বা লালচে ছোপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।   তোয়ালে হালকা করে চেপে চেপে মুখের জল মুছে নিন। তাহলে, এইধরনের সমস্যা সহজে হবে না।

অপরিষ্কার কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার
মুখ পরিষ্কার করার সময় অনেকে ভেজা বা নোংরা কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার করেন। যাতে অসংখ্য জীবাণু থাকে। তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। বিশেষত, যদি ত্বকে কোনও ক্ষত থাকে, তার ফল হয় আরও মারাত্মক। তাই, সবসময় পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজারের ভুল ব্যবহার
মুখ ধোয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ ত্বকে ভেজাভাব থাকে। এই সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। তাহলে, ময়েশ্চারাইজার আরও বেশি সময় পর্যন্ত কাজ করে। ত্বকের নরমভাব বজায় থাকে। মুখের জলীয়ভাব শুকিয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজ়ার কাজ অনেক কঠিন হয়ে যায়।

 ক্লিনজিঙ, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং -এর সঠিক নিয়ম না মানা

ক্লিনজিঙ, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজ়িং(CTM) ত্বকের জন্য জরুরি। প্রতিদিন দু’বার করে(একবার দিনে ও একবার রাতে) এই রুটিন মানলে ত্বক সুস্থ থাকে। কিন্তু, ক্লিনজ়িং, টোনিং বা ময়েশ্চারাইজ়িং করারও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ভালো করে জেনে তবেই করুন ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিঙ। নাহলে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে আপনার ত্বক।

প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর ত্বককে সময় না দেওয়া
প্রতিটি প্রোডাক্টেরই ত্বকে কাজ করার জন্য  কিছুক্ষণ সময় প্রয়োজন হয়। তাই, ক্লিনজিঙের সময় প্রতিটি প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর অন্তত ৬০ সেকেন্ড সময় নিন। তারপর ব্যবহার করুন দ্বিতীয় প্রোডাক্টটি। বিউটি প্রোডাক্টগুলি সঠিকভাবে কাজ করলে ত্বক দেখাবে প্রাণবন্ত। ক্ষতির সম্ভাবনাও অনেক কম হবে।

Collected News : padmanews24.com

No comments

Powered by Blogger.