'চার বছর কি রওশন এরশাদের লজ্জা লাগেনি'
জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ সংসদে দাঁড়িয়ে যে লজ্জার কথা বলেছেন, সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেছেন, চার বছরে কি রওশন এরশাদের লজ্জা লাগেনি।
গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম মন্ত্রীসভা থেকে আমাদের পার্টির সদস্যদের প্রত্যাহার করুন। কিন্তু সেটা হয়নি। এভাবে টানাটানি করে বিরোধী দল হওয়া যায় না।
এসময় সংসদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে বাইরে অনেক কথা হয়। আপনি বলেন বিরোধী দলের দরকার নেই। আমাদের সবাইকে মন্ত্রী বানাইয়া দেন। আমরা বাইরে গেলে নানা কথা হয়। বলে আপনারা কোথায় আছেন সরকারে, না বিরোধী দলে। আমরা বলতে পারি না। কাজেই এটা যদি করতেন তাহলে জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি আজ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারতো। জাতীয় পার্টি এখন সন্মানের সঙ্গে নেই।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আরো এক বছর আছে, দেখেন সেটা। আপনি নির্দেশ দিলে মানবে না কে? আপনি তো দিলেন না? এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমি তো বলেছিলাম। রওশন এরশাদ বলেন, না দেন নাই, দেন নাই, না. না.. না। তিনি আরও বলেন, আমরা কোথাও কথা বলতে পারি না। সাংবাদিকরা ধরলেই বলেন আপনারা কোথায় আছেন। কোথাও কথা বলতে পারি না। লজ্জা লাগে। আমরা সরকারি দল না বিরোধী দল। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলতে পারেন বিরোধী দল আছে? আমরাও বলতে পারি না।
এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ এনে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, চার বছর পর উনি (রওশন এরশাদ) রিয়েলাইজ করলেন, এটা তামাশার পার্লামেন্ট। বিরোধী দল থেকেও মন্ত্রী নেয়া হচ্ছে। কেউ একটু ক্রিমের ভাগ কম পেয়েছে, এ কারণে হয়তো রওশন এরশাদ একটু রাগান্বিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই পার্লামেন্ট যে পার্লামেন্ট না, এটা সবাই জানে। সাংবাদিকদের প্রেস করতে রওশন এরশাদের লজ্জা লাগে বলে যে কথা তিনি বললেন, তো এ চার বছরে কি উনার লজ্জা লাগেনি? আজকে রওশন এরশাদ বুঝতে পারলেন, তো চার বছর উনি রিয়েলাইজ করেননি?
তিনি আরও বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে আমাদের যতটা শিক্ষা নেয়ার কথা ছিল আমরা সেই শিক্ষা নেইনি। দেশের প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে চলে গেছেন। উনি চলে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। এরপরেও গণতন্ত্র কতখানি আছে তার জবাব সময় বলে দেবে।
No comments