সত্তরেও ২০ দল মনে করতো তারা জয় পাবে: প্রধানমন্ত্রী


সত্তর সালের নির্বাচনেও তৎকালীন ২০-দলীয় জোট জয়ী হবে বলে মনে করতো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তরের নির্বাচনে ২০-দলীয় জোট ছিল, ইয়াহিয়া খানরা করেছিল। তারা ভাবতো, ২০ দলীয় জোট যেহেতু আছে, নিদেন পক্ষে ৪০/৫০টা সিট তো তারা পাবেই। কাজেই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ম্যাজরিটি (সংখ্যাগরিষ্ঠতা) পাবে না। আব্বা কিন্তু জানতেন, তিনি বলতেন- আমি ২টা সিট হারাতে পারি।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়েই (১৯৭৫) বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার ৩৭ বছর পর আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এ অর্জন বাংলাদেশ করতে পারত অনেক আগে, যদি বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ আগস্টের মত কালো রাত বাঙালির জীবনে না আসতো।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের চিত্র চোখে ভেসে ওঠে। কিভাবে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন বাঙালিকে দমাতে পারেনি। বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে যুদ্ধ করে জয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ এনে দিয়েছিল।

স্বাধীনতার প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিদেশে যেতে হলে করাচি গিয়ে ভিসা, পাসপোর্ট ও ফ্লাইট ধরতে হতো। অথচ সবই আমাদের ছিল। কিন্তু সব কাজেই তাদের কাছে ধর্না দিতে হতো। এই যন্ত্রণাটা তিনি (বঙ্গবন্ধু) সহ্য করতে পারেননি। এজন্য মানুষকে মুক্তি দিকে ধাবিত করেন। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ছয়দফার মধ্যেই ছিল জাতির মুক্তির সনদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন- এই ভূখণ্ডের নাম হবে বাংলাদেশ। সব কিছু পরিকল্পিতভাবেই তিনি করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার যুদ্ধের সকল দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেভাবে এই ভুখণ্ডের স্বাধীনতা আনতে তার অনুসারীরা কাজ করেছে। তারা তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দাদির কাছে শুনেছি- বঙ্গবন্ধুর নানা উনাকে কোলে নিয়ে বলেছেন- তোর ছেলের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। দেখবি, একদিন জগত জোড়া নাম হবে তার। সে কথাই সত্যি হয়েছে। শুধু নিজের নাম নয়, বাঙালিকে বিশ্বসভায় পরিচিত তিনিই করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, অনেককে পদ ও অর্থের লোভ দিলে কেনা যেত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কোনো লোভ দিয়ে কিনতেও পারেনি, নিতেও পারেনি। বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সব ধরনের  আন্দোলনের সূচানাও করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। 

Collected News : poriborton.com

No comments

Powered by Blogger.