‘ওয়ার্নারের এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী’
বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হয়ে দেশে ফেরার পর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। সবার পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া নাটের গুরু ডেভিড ওয়ার্নারও আটকে রাখতে পারেননি চোখের পানি।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেননি ওয়ার্নার। এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনাও। যার জবাব দিতে গিয়ে সকল দোষ নিজের ঘাড়ে নেন ওয়ার্নার-পত্নী ক্যানডিস ফ্যালজন।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে ওয়ার্নার পত্নী বলেন, ‘আমি জানি এমন অনেক কিছু ছিল যা সে চাইলেও বলতে পারেনি। সে সত্যি সত্যি সংগ্রাম করছে। মানসিকভাবে সে যেন অক্ষম হয়ে পড়েছে। আমার মনে হচ্ছে, ওয়ার্নারের এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী। যা ভেবে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।
আমি নিজেও তাকে পর্যাপ্ত সমর্থন দিতে পারছি না। কারণ আমি নিজেও যে অক্ষম। আমার অবস্থাও ভালো নয়। যদি মানুষ বুঝতো... গত একমাস ধরে যা ঘটছে তারা যদি একটু হলেও সহমর্মিতা দেখাতো।’
কিন্তু কেন ক্যানডিস নিজেকেই দায়ী করছেন? আর গত এক মাস ধরে কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার?
এর পেছনে রয়েছে, তৃতীয় টেস্টে কেপ টাউনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। যার সূত্রপাত ক্যানডিস নিজেই। ওয়ার্নারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের সম্পর্ক ছিল ক্যানডিসের। যা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় ক্যানডিসকে।
কিংসমিড টেস্ট চলাকালীন দর্শকদের একটা অংশ বিলের মুখোশ পরেও মাঠে এসেছিল। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন ক্যানডিস এবং ওয়ার্নার। আর সে জন্যই ওয়ার্নার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে মনে করেন তার স্ত্রী। যদিও তিনি বল টেম্পারিং কাণ্ড নিয়ে স্বামীর ভুলের জন্য কোনো অজুহাত দেননি, শুধুমাত্র সে সময়কার মানসিক অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন।
এ নিয়ে ক্যানডিস বলেন, ‘মুখোশ পরা লোকগুলোকে দেখে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল এবং তারা আমাকে নিয়ে গান গাচ্ছিল। ওয়ার্নার খেলা শেষে রুমে ফিরে এসে দেখে আমি বেডরুমে কাঁদছি আর মেয়েরা আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে এটা নিতে পারেনি।
তবে যখন কেপটাউন বা পোর্ট এলিজাবেথে ছিলাম আমরা, ডেভ বাড়ি আসতো তার সামনেই আমি শক্ত থাকতাম এবং খেলার বিষয়েই তার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতাম।’
ওয়ার্নার অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে টুইট করেছিলেন। সেখানে ওয়ার্নার লিখেছেন, ‘আমি জানি সংবাদ সম্মেলনে অনেকগুলো প্রশ্নই ছিল যেগুলোর উত্তর দেওয়া হয়নি। আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। আমি সময়মতো প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবো। কিন্তু বোর্ডের একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আছে, যা অনুসরণ করতে হয়।’
Collected News : priyo.com
No comments