নিশ্চিত পরাজয় থেকে বার্সাকে বাঁচালেন মেসি
লম্বা সময় ২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সেভিয়া। জমাট রক্ষণ দলটিকে দেখাচ্ছিল ৩ পয়েন্টের আশা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে খেলার চিত্রটা পাল্টে দেন লিওনেল মেসি। উজ্জীবিত বার্সেলোনা ম্যাচের শেষ সময়ে দুই গোল শোধ করে হার এড়ায়।
খেলার তখন ৮৭ মিনিট। বার্সেলোনা পিছিয়ে ২-০ গোলে। বার্সার হার তখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। টানা ২৯ ম্যাচ পর মেসিদের হার ধরেই নিয়েছিলেন অনেকে। ঠিক তখনই ৮৮ মিনিটে গোল করে বসেন সুয়ারেজ।
এরপরেও হার এড়াতে বার্সার প্রয়োজন ১ গোল। দোদুল্যমান অবস্থায় বার্সেলোনার অপরাজিত থাকার রেকর্ড। বার্সেলোনা দলে যে মেসি রয়েছেন সেটাই হয়তো ভুলে যেতে বসেছিল সেভিয়া। সেই সেভিয়াকেই বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি মেসি কেন তিনি বিশ্বসেরা ফুটবলার। ৮৯ মিনিটে দুর্দান্ত শটে বার্সেলোনাকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচালেন আর্জেন্টাইন তারকা। অথচ ম্যাচ শুরুর আগে কে ভেবেছিল ইনজুরি থাকার পরেও খেলতে নামবেন তিনি! দলের বিপর্যয়ে নেমে দলকে খাদের কিনার থেকে আবারও একবার টেনে তুললেন তিনি। সেভিয়ার বিপক্ষে টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো বার্সেলোনা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে খেলায় এগিয়ে ছিল সেভিয়া। একের পর এক আক্রমণে বার্সার রক্ষণ ভেঙে পড়ছিল বারবার। বার্সার রক্ষণের ভুলেই প্রথম গোল পায় সেভিয়া। ৩৬ মিনিটে ফ্রাঙ্কো ভাসকসের গোলে ১-০তে এগিয়ে যায় সেভিয়া। ৪৪ মিনিটে পিকে একটা সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে সেভিয়া আরও চেপে ধরে বার্সাকে। ৫০তম মিনিটে গোল ব্যবধান বাড়িয়ে (২-০) সেভিয়াকে ভালো একটা উপলক্ষ প্রায় এনেই দিয়েছিলেন মরিয়েল। প্রতিপক্ষ বার্সেলোনায় একজন মেসি কিংবা একজন সুয়ারেজ আছেন বলেই হয়তো হলো না। তবে নিজেদের মাঠে যেভাবে খেলেছে সেভিয়া, জয়টা মনে হচ্ছিল তাদের পাওনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না।
Collected News : bd-pratidin.com
No comments