এক বিশেষ ধরণের পুরুষ নারীকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারে বেশি! জানেন কারা?
নারীর যৌন তৃপ্তি বা অর্গাজমের ব্যাপারটা বেশ জটিল, অনেক পুরুষ ব্যাপারটাকে এখনো বুঝে উঠতেই পারেন না। তবে গবেষণা বলছে, যেসব পুরুষের মাঝে একটি বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে তারা নারীকে তৃপ্তি দেবার বেলায় এগিয়ে থাকেন অন্যদের তুলনায়।
সোশিওঅ্যাফেক্টিভ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড সাইকোলজি নোটস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা বলছে, যেসব পুরুষ অন্যকে হাসাতে পারে, তারাই এগিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে। আপনি নিজেই ভাবুন। একটু মজাদার চরিত্রের মানুষকে কি আপনিও পছন্দ করেন না? সাধারণ কথার মাধ্যমেই আপনার মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে, আবার এমনই হাসাতে পারে যে হাসতে হাসতে আপনার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে- এমনই হন সেসব মানুষ। গবেষণায় সেটাই বলা হয়, রসবোধ আছে, সৃজনশীল, সংবেদনশীল এবং আন্তরিক পুরুষকেই সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলে আপনি উপকৃত হবেন।
এই গবেষণা করা হয় ১০৩ জন্য সিঙ্গেল নারীর ওপর, যাদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৬৯ পর্যন্ত। তাদের যৌনজীবনের ইতিহাস নিয়ে ৭১ মিনিটের একটি জরিপে অংশগ্রহণ করেন তারা। এই গবেষণায় শুধুমাত্র সিঙ্গেল নারীদেরকে নেওয়া হয় কারণ যারা ইতোমধ্যেই সম্পর্কে জড়িত বা বিবাহিত তারা নিজেদের প্রেমিক বা স্বামীর ব্যাপারে ভালো তথ্যই দেবেন, যুক্তি দিয়ে চিন্তা করবেন না।
গবেষণাটির লক্ষ্য ছিল, কোন বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে সেই পুরুষ নারীকে সবচাইতে তৃপ্তিদায়ক যৌন অনুভূতি দিতে সক্ষম। মোটামুটি সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেই পুরুষটিকে হতে হবে আকর্ষণীয়। এ থেকে ধরে নেওয়া যায়, সঙ্গী আকর্ষণীয় হলে নারীর যৌন অভিজ্ঞতাটি হয় আরো বেশি তীব্র।
তবে এই গবেষণায় আরো বলা হয়, আকর্ষণীয় বলতে শুধুই সুন্দর চেহারা বা দেহের কথা বলা হয়নি। বরং যাদের ব্যক্তিত্বও আকর্ষণীয় ছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে। দেখা যায়, নারীদের সবচাইতে ভালো অভিজ্ঞতাগুলো ছিল সেসব পুরুষদের সাথে যাদের চরিত্র ছিল রসাত্মক, সৃজনশীল, উষ্ণ, বিশ্বস্ত, আর তাদের শরীরের গন্ধটাও ছিল আকর্ষণীয়। এছাড়া তারা নারী সঙ্গীর যৌন তৃপ্তির ব্যাপারেও ছিলেন আন্তরিকভাবে মনোযোগী।
তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। ঠিক কোন গুণটি এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা বের করা যায় না। বরং দেখা যায়, নারীর যৌনতৃপ্তি আনার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় পুরুষেরা বেশি সক্ষম এবং তাদের আকর্ষণীয় হবার পেছনে আবার আছে তাদের রসবোধ এবং বুদ্ধিমত্তার অবদান।
No comments